সেই ‘‌অবৈধ’‌ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নয় নয় করে ৬০০। আর এই অ্যাকাউন্টধারীদের তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই–এর প্রাক্তন প্রধান আখতার আবদুর রহমান খান। তিনি ছাড়াও বহু রাজনীতিক, আমলাদেরও অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
তথ্যটি সামনে এনেছে ‘‌দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’‌। জানিয়েছে, এই আখতার আবদুর রহমান খানই আমেরিকা এবং সৌদির টাকা নিয়ে তা দিয়েছে আফগানিস্তানেরর মুজাহিদিনদের। উদ্দেশ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মদত। আফগানিস্তান থেকে রাশিয়াকে হঠানোর জন্য টাকা জোগাত আমেরিকা এবং সৌদি। তাদের সেই টাকা ঢুকত আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (‌সিআইএ)‌–এর সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে টাকা যেত পাকিস্তানের আইএসআই–এর হাতে। আইএসআই–এর প্রধান তখন আখতার। এই টাকা লেনদেনের মাথাতেও ছিলেন তিনিই। 

প্রয়াত পাক সেনাশাসক জিয়াউল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন আখতার। জেনারেল জিয়ার সঙ্গেই বিমান দুর্ঘটনার তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে অভিযোগ ওঠে, বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বিমান। আফগানিস্তানে মুজাহিদদের পাঠানো টাকার একটা অংশ আখতার জমা করতেন সুইস ব্যাঙ্কে।
পাকিস্তানে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সুইস ব্যাঙ্কে পাকিস্তানিদের যেসব অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেগুলোতে সর্বোচ্চ রয়েছে ৪ কোটি ৪২ লক্ষ সুইস ফ্র‌্যাঙ্ক। এসব অ্যাকাউন্ট সরকারি চাকরি করার সময়ই খুলেছেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। অথচ প্রশাসনকে কিছুই জানাননি। এমনকী পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকেও কিছুই জানাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also

উত্তেজনার মধ্যে আবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু …